আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনি বাড়িতে বসে টাকা ইনকাম করবেন, তাহলে আপনাকে কিছু স্কিল শিখতে হবে। স্কিল শেখার আগে আপনাকে সর্বপ্রথম জানতে হবে কি কি ভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। চলুন আমরা জেনে নেই অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।
১. ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা আপনি কোথাও না কোথাও অবশ্যই শুনে থাকবেন। ফ্রিল্যান্সিং সত্যিই একটি বিশ্বাসযোগ্য স্থান যেখান থেকে সত্যিই টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এর মধ্যে রয়েছে Upwork, Fiverr, Freelancer এছাড়াও আরো কিছু ওয়েবসাইট আছে কিন্তু এই ওয়েবসাইট গুলো সব থেকে বিশ্বাসযোগ্য। আপনি এখানে কাজ করতে চাইলে আপনি সর্বপ্রথম কিছু সাধারণ স্কিল শিখতে পারেন। যেমন-কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
২. অনলাইন টিউশন: এই কথাটা শুনে অনেকের বিরক্ত লাগে কিংবা অনেকের ভালো লাগে। কেউ কেউ ছোটদের টিউশন পড়াতে অনেক ভালোবাসে। আপনারও যদি টিউশন পড়াতে ভালো লাগে, তাহলে আপনি এটা অনলাইনে করতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম আছে অনলাইনে টিউশন পড়ানোর জন্য। যেমন- Vedantu, Byju's, Unacademy আরো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম আপনি ঘুরে দেখতে পারেন।
৩. কনটেন্ট ক্রিয়েটর (YouTube): আজকের কার দিনে আমরা সবাই ইউটিউব দেখতে ভালবাসি। কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন এই ইউটিউবে আপনিও কনটেন্ট বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে, তখন আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশন, এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং প্রমোশন করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
৪. ডিজিটাল মার্কেটিং: বর্তমান কালে সব ব্যবসা অনলাইনের শিফট হয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি কোন সার্ভিস খুজতে চাই, অবশ্যই গুগলে সার্চ করে দেখি প্রথম। এখান থেকেই শুরু হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে পারেন। youtube, facebook, instagram এ কিভাবে Ad চালাতে হয় এটা শিখে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আরো অনেক কিছু আছে, যেমন - SEO , ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি কাজ শিখে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
৫. ডেটা এন্ট্রি ও মাইক্রো টাস্কিং: এটা সবথেকে সহজ কাজ, তবে আপনার কাছে অবশ্যই মোবাইল এবং ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকা প্রয়োজন। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে ছোট ছোট টাস্ক কমপ্লিট করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমন- Amazon MTurk, Clickworker এর মত সাইট ব্যবহার করে দেখতে পারেন আপনি।
৬. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে বা বিভিন্ন প্লাটফর্মে কোন প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করে কমিশন আয় করতে পারেন। একেই বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। যেমন amazon এফিলিয়েট প্রোগ্রাম, ফ্লিপকার্ট এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এখানে আপনি জয়েন করে দেখতে পারেন।
৭. ফটো বা ডিজাইন বিক্রি: আপনি যদি ফটোগ্রাফি বা ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ হন, তাহলে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন কিংবা আপনার শুট করা ফটো বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য কিছু প্ল্যাটফর্ম হল- Shutterstock, Adobe Stock এখানে আপনি আপনার ফটো বিক্রি করতে পারেন।
অনলাইনে যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। মনে রাখবেন রাতারাতি কোন কাজ হয় না। আপনাকে অবশ্যই নতুন নতুন স্কিল শিখতে হবে, যে যত বেশি স্কিল শিখতে পারবে এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবে সে ততই বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবে।
0 মন্তব্যসমূহ